রতুয়া

সরকারি জলকর দখল উচ্ছেদ করলেন বিধায়ক

 

সরকারি জলকর দখল উচ্ছেদ করলেন বিধায়ক। তৃণমূল বিধায়কের নেতৃত্বে মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে চলল ভাঙচুর ও উচ্ছেদ অভিযান। সরকারি ভাবে যে সোসাইটিকে এই জলকর লিজ দেওয়া হয়েছিল সেই সোসাইটির হাত থেকে এই জলকর দখলমুক্ত করতে পদক্ষেপ নিলেন বিধায়ক। ঘটনাই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় মালদার রতুয়া থানার রাঙ্গামাটিয়া জলকর এলাকায়। বিধায়কের নেতৃত্বে ভাঙচুর করা হয়েছে বাজিতপুর কলোনি ফিশারম্যান কো-অপারেটিভ সোসাইটির নদীর পারে থাকা সমস্ত কিছু এমনটাই অভিযোগ।

    মালদার রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত অবস্থিত রাঙ্গামাটিয়া জলকর। ৮৯ একর দৈর্ঘ্যের এই জলকর। সরকারি এই জলকর উচ্চ আদালতের নির্দেশ মতো লিজ পেয়েছে বাজিতপুর কলোনি ফিশারম্যান কো-অপারেটিভ সোসাইটি। চলতি বছরের মে মাসে ভূমি দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ মতোই জলকর দখলদারি করে ওই সোসাইটি। ২০৩১ সালের মে মাসে লিজ এর সময়সীমা শেষ হচ্ছে ওই সোসাইটির। এই লিজ বাবদ প্রতিবছর প্রায় ১৬ লক্ষ ২১ হাজার টাকা সরকারি রেভিনিউ দিতে হতো ওই সোসাইটিকে। দখলদারি নেওয়ার পর প্রায় কোটি টাকার মাছ চাষ করেছে সোসাইটি কর্তৃপক্ষ। যার ফলে মাছ জোগানোর জন্য ঘর সহ যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

    তবে শুক্রবার দুপুরে রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখার্জির নেতৃত্বে এই সোসাইটির বানানো ঘর ভেঙে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের পতাকা হাতে এলাকার মৎস্যজীবীদের সাথে নিয়ে এমনই পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল বিধায়ক সমর মুখার্জিকে। এই জল করের পাশে বানানো সোসাইটি কর্তৃপক্ষের ঘর ভেঙে ফেলা হয়। পাশাপাশি সমস্ত কিছু তুলে নিয়ে যায় এমনকি লুটপাট করা হয় বলে অভিযোগ বাজিতপুর কলোনি ফিশারম্যান কো-অপারেটিভ সোসাইটি কর্তৃপক্ষের।

    এই প্রসঙ্গে সোসাইটির ম্যানেজার উজ্জ্বল কুমার দাস জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশ মতো এই জলকর লিজে তারা পেয়েছেন। সরকারি যে ধরনের নির্দেশ রয়েছে সমস্তটা অনুসরণ করে তারা এই জলকর মাছ চাষ করেছেন। হঠাৎ করে বিধায়ক সমর মুখার্জী লোকজনকে নিয়ে লুটপাট চালিয়েছে জলকরের দেখাশোনার জন্য যে ঘরটা রয়েছে সেটাও ভেঙে ফেলেছে। তাই বিধায়ক সহ বেশ কিছু দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আমরা রতুয়া থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করছি।

 

    এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখার্জি জানিয়েছেন, মৎস্যজীবীদের পেটে লাথি মেরে বেশ কিছু মানুষ জলকর নিজেদের লাভে বিক্রি করে দিয়েছে। বাজিতপুর সোসাইটির সদস্যদের অন্ধকারে রেখে এই জলকর বিক্রি করে দিয়েছে উজ্জ্বল কুমার দাস নামে একজন ব্যক্তি। তাই মৎস্যজীবী ও বাজিতপুর সোসাইটির সদস্যরা সকলে মিলে এই জলকর দখল করেছে। প্রশাসনের নির্দেশ মতো এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি বিধায়কের।